মার্চ মাস বাঙালি জাতির এক অবিস্মরণীয় দিন। ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে বাঙালিদের মনে স্বাধীনতার বীজ রোপন হয়েছে। যা বিশ্বের অন্যতম ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পায়। আর এ ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের অন্যান্য মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যুদ্ধ ছাড়া বাঙালি-জাতির স্বাধীনতা আসবে না। তাই তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মূলত বাঙালি-জাতি সেদিন থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু ভিন্ন কিছু নয়। নেতা হওয়া সহজ কিন্তু নেতৃত্ব দেওয়া বড়ই কঠিন। তার জন্য যে গুণটি অত্যন্ত প্রয়োজন সেটি হলো সততা ও উদারতা। সততা, উদারতা, সঠিক নেতৃত্ব বা বিচক্ষণতার অভাবে বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক রাজনীতিক সংগঠন খন্ড খন্ড হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু সততা, উদারতা, সঠিক নেতৃত্ব ও বিচক্ষনতার মাধ্যমে বাঙালি-জাতিকে একত্রিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পেরেছিলেন। বর্তমানে যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক করছেন, কালের স্রোতে তা ভেসে যাবে। বঙ্গবন্ধুর নামটি স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে অনন্তকাল। আমাদের রাজনীতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, সেটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু যাঁর জন্য আজ স্বাধীনতা পেয়েছি, যাঁর জন্য এই বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁকে অস্বীকার করে নয়। আসুন আমরা আমাদের সংকীর্ণতাকে পরিহার করে বঙ্গবন্ধুকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা হিসেবে সম্মান করি।