মার্কেট শপিংমল খুলছে আজ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সীমিত পরিসরে আজ রোববার থেকে খুলছে দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও বিপণি বিতান। সরকারের অনুমতি পেয়ে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন মার্কেটে ব্যবসায়ীদের দোকানের পণ্য সাজাতে দেখা গেছে। অনেকে পুরনো পণ্য সরিয়ে নতুন পণ্যের ডিসপ্লে করেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে অনেকদিন দোকান বন্ধ ছিল। সরকার সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়ায় দোকান পরিস্কার করেছেন তারা। তবে সময়ের অভাবে ঈদের কালেকশন ডিসপ্লে করতে পারেননি অধিকাংশ ব্যবসায়ী। এছাড়া লকডাউন নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় অনেকে দোকানে আসার সুযোগ পাননি। গতকাল নগরীর টেরিবাজার, নিউমার্কেট বিপণি বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশ্যান সিটি, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এবং মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে পুরো দোকানের মালামাল সরিয়ে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন পণ্য তাকে সাজিয়ে রাখছেন।
টেরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান আজাদীকে বলেন, সরকার সীমিত পরিসরে মার্কেট খুলে দিয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে দোকানে এসেছেন। আমাদের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার আগেই পোশাকের কালেকশন নিয়ে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ লকডাউন দেয়ায় সবাই টেনশনে পড়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে মার্কেট খুলে দেয়ায় সবাই খুশি। আমরা ব্যবসায়ীদের বারবার আহ্বান করছি, তারা যেন সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানার যে শর্ত দিয়েছেন, তা পূরণ করেন। কারণ আমরা সরকারকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চয়তা দিয়েছি।
তামাকুমণ্ডি বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু তালেব আজাদীকে বলেন, মার্কেট খোলায় ব্যবসায়ীরা খুবই উৎফুল্ল। আমরা ইতোমধ্যে মার্কেটে মাইকিং করা শুরু করেছি, যাতে সব ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করেন। স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে আমরা প্রশ্নের সম্মুখীন হব। আমাদের ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা সরকারের শর্ত মানবেন।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন বলেন, আমরা শতভাগ প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছিলাম। এখন কেবল দোকান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং মালামাল গোছাতে এসেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানাটাই আমাদের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে।
কারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশ দিয়েছি, যাতে মাস্ক ছাড়া কাউকে মার্কেটে প্রবেশ করতে দেয়া না হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে সরকার : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধগণ্ডামারায় জমি নিয়ে বিরোধে গোলাগুলি