আফগানিস্তানে এ বছরের শেষ নাগাদ মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগতে পারে প্রায় ৩২ লাখ শিশু। এর মধ্যে ১০ লাখ শিশু শীতের এই সময়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র গতকাল শুক্রবার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তানে পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। সেইসঙ্গে আছে খরারও পূর্বাভাস। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা বিশেষ করে আরও খারাপ। অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই বেতন না পেয়ে পালিয়ে চলে যাচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ফোনে জেনেভায় সাংবাদিকদেরকে ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, দুর্ভিক্ষ দেশটিকে ঘিরে ধরতে থাকায় লড়াই কঠিন হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের আফগানিস্তানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা উচিত হবে না। তিনি বলেন, শীতের এই সময়ে রাতে তাপমাত্রা জিরো ডিগ্রির নিচে চলে যাচ্ছে। এই ঠাণ্ডা আবহাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। তাছাড়া, ব্যাপক সঙ্কটের মধ্যে কোথাও কোথাও মানুষ হাসপাতালগুলোতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে গাছও কেটে ফেলছে।
কত শিশু এরই মধ্যে অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছে সেই সংখ্যা জানাতে পারেননি হ্যারিস। তবে তিনি বলেছেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো ছোট ছোট শিশুতে ভর্তি হয়ে আছে। এদের মধ্যে আছে ৭ মাস বয়সী শিশুও। আফগানিস্তানে হামের প্রকোপ বাড়ছে এবং ডব্লিউএইচওর পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুকে মত্যুমুখে ফেলতে পারে হাম। আশু ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে এমন আরও অনেক মৃত্যুই দেখতে হবে বলে সতর্ক করেছেন হ্যারিস।