মামা রণি ওমানে চলে যাবেন। যাওয়ার আগে বোনকে দেখতে গেলে ১০ বছরের ভাগিনা দেবরাজ বায়না ধরে মামার সাথে রাউজানের নোয়াপাড়ায় মামার বাড়িতে যাবে দুদিনের জন্য। স্কুল কামাই হবে এই চিন্তায় প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না মা। পরে ছেলের বায়নায় মা সায় দেন যাওয়ার পক্ষে। মামার সাথে গতকাল রোববার সকালে মামার বাড়িতে আসে দেবরাজ। দুপুরে মামার সাথে বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করে। মামা তাকে পুকুর থেকে উঠিয়ে বাড়িতে যায়। পরে কখন যে দেবরাজ আবার পুকুরে নেমেছে কেউ টের পায়নি। পুকুরে ডুবে মারা যায় দেবরাজ।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শোকাহত রণি বলেন, ঘরে গিয়ে দেবরাজের মামি ভাত খাওয়ার জন্য তাকে খুঁজছিল। আমার কাছে জিজ্ঞাস করলে আমি তাকে জানাই–দুজন গোসল সেরে পুকুর থেকে উঠেছিলাম। খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে সন্দেহের বসে পাড়ার ছেলেদের নিয়ে ওই পুকুরে তল্লাশিতে নামি। এ সময় ওই পুকুরে পাওয়া যায় দেবরাজের নিথর দেহ। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু দেবরাজের বাবা পলাশ দাশ একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকুরি করেন। স্ত্রী এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে থাকতেন নগরের টাইগারপাস ভাড়া বাসায়। এই ঘটনায় দেবরাজের মামার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে।