মামলায় খেতাবী নাম পরিহারের নির্দেশ

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স সিএমএম আদালতে ৯ মাসে ২৫ হাজার ২৪৯ মামলা নিষ্পত্তি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

মামলা গ্রহণের সময় মর্যাদা হানিকর খেতাবী নাম পরিহার করতে ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম। গতকাল আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে তিনি এ নির্দেশ দেন।

কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বিগত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। উচ্চ আদালতের আদেশের প্রসঙ্গ টেনে মামলা গ্রহণকালে মর্যাদা হানিকর খেতাবী নাম পরিহার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, বিচারাধীন মামলাগুলো সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ায় দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তার, অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা। জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন এবং অতিরিক্ত মহানগর পিপি উত্তম কুমার দত্ত।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (দক্ষিণ জোন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসানসহ নগরীর সকল থানার ওসিরা। চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার তানভীর ফরহাদ। কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, পাসপোর্ট অফিস, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।

এদিকে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৯ মাসে ২৫ হাজার ২৪৯টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। সিএমএম কোর্টের মাত্র ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট এতগুলো মামলা নিষ্পত্তি করায় আন্তরিক অভিনন্দন জানান মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মামলার তদন্তে ও ফরেনসিক বিভাগে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তাছাড়া, ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৮, ১৪৫, ১৬৪ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়াকে হতাশায় ডুবিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড
পরবর্তী নিবন্ধআমরা একে অপরের ধর্মকে শ্রদ্ধা করবো উৎসবে শামিল হবো