শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যেভাবে মামলা এবং গ্রেপ্তারের হিড়িক পড়েছে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে’ মন্ত্রণালয় বলেছে, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এ সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই–বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশছাড়ার পর থেকে বিগত সরকারের মন্ত্রী–এমপি, নেতাকর্মী, সরকারঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যার অভিযোগই বেশি। ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন সরকারি–বেসিরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও চলছে পদত্যাগের হিড়িক। কোথাও কোথাও জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ে সমালোচনা চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এতে বলা হয়, উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়ে কিছু অতিউৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নেবার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া যাচ্ছে যে, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকার সকল দুষ্কৃতিকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল–মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে।