মাদক মামলার বিচার ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার বিধান রয়েছে- এই যুক্তি দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেও সফল হলেন না চিত্রনায়িকা পরীমনি। গতকাল সোমবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পরীমনি হাজির থেকে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর মাধ্যমে এ আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তা খারিজ করে দেন। খবর বিডিনিউজের।
পরীমনির আবেদনে বলা হয়েছিল, মামলাটির বিচারে ইতোমধ্যে ১৩৫ কার্যদিবস পার হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে সময় বাড়ানোর কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এছাড়াও এই মামলার সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় এই আদালতে তা চলতে পারে না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল হাসান বলেন, যদিও আইনে বলা রয়েছে ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলা শেষ করতে হবে। তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়, বরং ইচ্ছাধীন। তাছাড়া পরীমনি এ মামলার বিচারের সময় মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ চারবার সাক্ষ্য মুলতবির জন্য সময় চেয়েছিলেন। সে সময় কীভাবে কাযদিবসের আওতা থেকে বাদ যাবে?
এদিন মামলাটিতে র্যাব-১ এর এসআই আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এই সাক্ষীকে জেরা করার জন্য আসামিপক্ষ সময় আবেদন করেন। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বর জেরার তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে তোলপাড় তুলেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। তার কয়েক দিনের মধ্যে গত বছরের ৪ আগস্ট তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মদ ও মাদক উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলাও করে র্যাব। এক মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তি পান পরীমনি।