চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুপম কান্তি নাথ নামের এক বন্দিকে বৈদ্যুতিক শক ও বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। একইসাথে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০১ ধারা অনুযায়ী উপযুক্ত আদালতে (মহানগর দায়রা জজ) মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার ভুক্তভোগী রুপম কান্তি নাথের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। রূপম কান্তি নাথের স্ত্রী ঝর্ণা রানী দেবনাথের আদালতে করা ওই মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারের জেল সুপার, জেলর, জেলখানায় কর্তব্যরত সহকারী সার্জন ও রতন ভট্রাচার্য নামের সাতকানিয়া উপজেলার মৌলবীর দোকান এলাকার একজন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
বাদীর আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক গতকাল মঙ্গলবার আজাদীকে বলেন, গত সোমবার ২য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে মামলাটি করা হয় সেটির উপর আজ (মঙ্গলবার) আদেশ হয়েছে। আদেশে বিচারক মামলাটি গ্রহণ না করে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একইসাথে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০১ ধারা অনুযায়ী উপযুক্ত আদালতে মামলা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আদেশের কপি হাতে পায়নি। আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর বাদীর সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে আদালতের আদেশে বলা হয়, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ)আইন ২০১৩ অনুযায়ী কোন আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করেন যে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে উক্ত আইনের ধারা ৪ এবং ধারা ৫ প্রযোজ্য হবে। নির্যাতিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ অর্থাৎ তৃতীয়পক্ষ আদালতে মামলা করলে ধারা ৬ এবং ধারা ৭ অনুসরণ করতে হবে।