বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তনের ধারায় এখন গ্রীষ্মকাল। চলছে বৈশাখ মাসের তীব্র তাপদহন। এই নিদারুণ নিষ্ঠুর তাপদহনে পুড়ছে জনজীবন। একদিকে দুষ্ট মহামারী করোনার ২য় ধাক্কা, অন্যদিকে এ তাপদহন! সত্যি কোনদিকে যে আমরা যাই। এ সময়ে একটু বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতি এখন এমন নিষ্ঠুর রূপ ধারণ করে আছে। আমরা মানুষরা প্রকৃতির কাছে অসহায় প্রায়। ছন্দ হারিয়ে পৃথিবী আজ বন্দী কঠিন অসুখে। প্রচণ্ড গরমে শিশুরা বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই দুঃসময়ে অসুস্থতা মানে প্রচণ্ড ভয়ের। গরমের তীব্রতার তাপমাত্রা গত সাত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে! মানুষ কত আর সহ্য করবে? একদিকে জীবন অন্যদিকে জীবিকা। শ্রমজীবী মানুষেরা রোদে শরীর পুড়িয়ে পরিবারে দুমুঠো খাবার যোগান দিতে ব্যস্ত। তার উপর করোনার ভয়াল থাবা। সৃষ্টিকর্তা কি তবে সত্যিই পৃথিবী ফেরত চেয়েছে? জানি, আমাদের কারো এর উত্তর জানা নেই। মানুষের প্রতি সদয় হোক প্রকৃতি। আমরা যেন একটু স্বস্তিতে বাঁচি। লড়াইয়ের পর লড়াই করে চলছে মানুষ। এবার তো ক্ষমা পেতে পারি প্রকৃতি তোমার কাছে। বৃষ্টিজলে স্নাত হোক প্রকৃতির সকল সৃষ্টি। তোমার জলের প্রেমধারায় শরীর, মন জুড়িয়ে পাখিরা ডানা মেলে উড়ে চলার ছন্দে ফিরে আসুক।