মানুষ বিএনপির কাছে ‘অ্যাকশন’ চায় দাবি করে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মানুষ এখন বক্তৃতা শুনতে চায় না। মানুষ অ্যাকশন চায়। সেই অ্যাকশন জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের কাছে চায়। আজকে মানুষ চায় আমার ভোট আমি দেবো, আমার ইচ্ছায় যাকে খুশি তাকে দেবো। এখানে অমুককে দেব, তমুককে দেব বলে কোনো কথা নেই।
গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন ও নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম সঞ্চালনা করেন। সমাবেশ শেষে র্যালিটি নূর আহমেদ সড়ক থেকে শুরু হয়ে লাভলেইন, জুবিলি রোড হয়ে তিনপুলের মাথায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। নোমান বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আজকে মানুষ জেগে ওঠেছে। সারা দেশের মানুষ হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। দেশের মানুষ আন্দোলনমূখী। আন্দোলন ছাড়া সফলতা অর্জন করা যায় না। একদফার আন্দোলনের জোয়ারে সরকার পালাবে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, জিয়াউর রহমান এমন সময় দেশের হাল ধরেন যখন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সকল দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলো। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেদিন শাহাদতবরণ করেন সেদিন এদেশের লাখ লাখ মানুষ তার জন্য কেঁদেছিল। মানিক মিয়া এভিনিউতে লাখ লাখ মানুষের তার জানাজায় অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি যে কত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ আজকে রাস্তায় নেমে গেছে। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবো। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছিল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সেই সংকট দূর করতে সক্ষম হন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জুসহ নেতাকর্মীরা।
উত্তর জেলা বিএনপি : দলের ৪৫ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গতকাল নগরের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি। দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এতে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক অচলাবস্থাা চলছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। তার উপর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানিবন্ধি অসহায় মানুষগুলোর দু:খকষ্ট অবর্ণনীয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন ও সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন, মোহাম্মদ নূরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, কাজী সালাউদ্দীন, এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, ডাঃ খুরশিদ জামিল, অধ্যাপক জসীমউদ্দীন চৌধুরী, মোঃ সেলিম চেয়ারম্যান, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, আলমগীর হোসেন ঠাকুর, কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, হাসান মোহাম্মদ জসিম, সরওয়ার উদ্দিন সেলিম, মুরাদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, এজাহার মিয়া, মোবারক হোসেন কাঞ্চন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪ টায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে র্যালিটি দামপাড়া ওয়াসার মোড় থেকে শুরু হয়ে কাজীর দেউরী লাভলেইন মোড় গিয়ে শেষ হয়। র্যালি পূর্ব সমাবেশে আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের সকল ভালো অর্জনের সাথে শহীদ জিয়া বিএনপি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশে যখনই কোন দুর্ভোগ নেমে এসেছে তখনই শহীদ জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্বেই মোকাবেলা হয়েছে। এনামুল হক এনাম বলেন, সরকারের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সরকার যদি শান্তি চায়, দেশের মানুষের কল্যাণ চায়লে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত।
বর্ণাঢ্য র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য যথাক্রমে এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোশাররফ হোসেন, নুরুল আনোয়ার, এডভোকেট ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এম মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, লায়ন নাজমুল মোস্তফা, মজিবুর রহমান, আবু মোঃ নিপার, এড. নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান, এড. ফৌজুল আমিন, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।