প্রথমবারের মতো মানব রোগীর দেহে বসানো হয়েছে নিউরালিংকের ব্রেইন চিপ–এমনই জানান দিলেন কোম্পানির মালিক ইলন মাস্ক। আপাতদৃষ্টিতে প্রক্রিয়াটি সফল হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। মাস্ক বলছেন, চিপ বসানো ওই রোগী সার্জারির এক দিন পর ‘ভালোভাবেই সেরে উঠছেন’। নিউরালিংকের লক্ষ্য হল, ‘ব্রেইন–কম্পিউটার ইন্টারফেইসেস (বিসিআই)’ নামের ডিভাইস তৈরি করা। কয়েকমাস আগে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘এফডিআই’–এর সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই নিজেদের প্রথম পরীক্ষা চালানোর লক্ষ্যে মানব রোগীর খোঁজ শুরু করে কোম্পানিটি। সে সময় নিউরালিংক বলেছিল, যাদের ‘সার্ভিকাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি’ বা ‘অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (এএলএস)’র কারণে ‘কোয়াড্রিপ্লেজিয়া’ (মেরুদণ্ড অকেজো হয়ে যাওয়া)’ হয়েছে, তারা এ গবেষণার উপযুক্ত হতে পারেন। খবর বিডিনিউজের।
এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি লিখেছে, আমাদের বিসিআই তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল, মানুষকে কেবল নিজের ভাবনা ব্যবহার করে একটি মাউসের কার্সর বা কি বোর্ডের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা দেওয়া। এ পরীক্ষার অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়াদি প্রকাশ করেননি মাস্ক। তিনি কেবল বলেছেন, এর প্রাথমিক ফলাফলে নিউরন স্পাইক শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। ডিভাইসটি সফলভাবে মানব রোগীর ওপর স্থাপিত হলে তা কোম্পানির জন্য বড় এক মাইলফলক হবে। মাস্কের দাবি, একদিন এর মাধ্যমে বিকল্প বাস্তবতা দেখার সুযোগও মিলতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়েছে নিউরালিংক।