মানব কল্যাণে স্বেচ্ছায় বিনামূল্য রক্তদান করা একটি মানবিক সেবা বটে। রক্তদান রোগীর জীবন বাঁচাতে অন্যতম একটি মহৎ কাজ। মানুষ মানুষের পাশে বিপদে দাঁড়াবে রক্ত দিয়ে পাশে থেকে সহায়তা করবে এটিই মানবিক দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্য। এক সময়ে লোকে আপন রক্ত দান করতে ভীতি বোধ করতো। কালের পরিবর্তনে সমাজ সচেতনতার কল্যাণে স্বেচ্ছায় রক্ত দান দিনে দিন বৃদ্ধি পাওয়াতে স্বেচ্ছায় রক্ত দাতা ও রক্তদান সংগঠন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবিক কাজে ভুমিকা রাখছে স্বেচ্ছায় রক্ত দাতারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল কলেজ মাদরাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বেশ আগ্রহে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে যাচ্ছে। বিভিন্ন রক্ত দাতা ও সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্ত দানে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে যাচ্ছে। রক্ত গ্রহণ উপকার ভোগীরা নিরন্তর সাধুবাদ জানাচ্ছে। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় রক্ত দানে। রক্ত দান শারিরীক উপকার বয়ে আনে হার্ট ভালো রাখে অপর দিকে মারাত্মক ক্যান্সার রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। রক্তের অভাবে অনেক রোগী প্রতিদিন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে বহু রোগী প্রতিদিন মৃত্যু পথযাত্রীতে ধাবিত হচ্ছে। রক্তের কত যে কদর তা বুঝে রক্ত জরুরি রোগীর পরিবার ও স্বজনেরা। রক্ত মানব দেহের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এক ব্যাগ রক্তে বাঁচতে পারে একটি প্রাণ। রোগীকে বেঁচে থাকতে শেখায় স্বপ্ন দেখায় রক্ত দানে। শুধু রোগী নয় রোগীর স্বজনদেরও হাসি ফোঁটায়। একজন সুস্থ সবল ব্যক্তি আঠারো থেকে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত ব্যক্তি রক্ত দিতে পারে। রক্ত দানে মানব দেহের শরীরের অবস্থিত বোন ম্যারো নতুন কণিকা সৃষ্টি করে শরীরকে সচল রাখে। ক্যান্সার থ্যালাসেমিয়া কিডনি গর্ভবতী রোগীদের ডেলিভারি সড়ক দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু রোগীদের ধারাবাহিক ভাবে রক্ত দাতা রক্ত দানে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে থাকে।