আসন্ন ঈদ–উল–আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভারতের গরু বাংলাদেশে প্রবেশের খুব সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রচুর গরু অবৈধভাবে প্রবেশ করছে সেটাও শোনা যাচ্ছে। যদি এভাবে বিভিন্ন দেশের গরু দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে থাকে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের প্রান্তিক খামারি থেকে শুরু করে শিক্ষিত লক্ষ লক্ষ যুবক যারা স্বল্প পুঁজি দিয়ে খামারি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা আবারও বেকার হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ এই স্লোগান দিয়ে ক্ষান্ত হননি, তিনি প্রান্তিক খামারি থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় খামারীদেরকেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এবং দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকেরা প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এক –দুটি গরু থেকে শুরু করে আজ অনেকে শত শত গরুও পালন করছে।
আর এই ভাবে পশু পালন করতে গিয়ে অনেকে তাদের সর্বস্ব বিকিয়ে দিয়ে অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করে পশুগুলোকে খাওয়াতে থাকে। এমতাবস্থায় দেশের অবৈধ সীমান্তগুলো দিয়ে অবৈধ ইনজেকশন এবং বিষাক্ত খাবারের মাধ্যমে অধিক হারে মাংস বৃদ্ধি করে যে সকল পশুগুলোকে মোটা তাজা করানো হয়েছে সেগুলো প্রবেশ করলে একদিকে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক আবারও বেকার হয়ে পড়বে এবং বিষাক্ত খাবার ও ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমে মোটাতাজা করা গরুর মাংস খেয়ে দেশের মানুষও ক্যান্সার, হার্ট এ্যাটাক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং আরো নানাবিধ মরণব্যাধিতে ভুগতে পারে। তাই দেশকে এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন দেশের সীমান্তগুলো দিয়ে অবৈধভাবে গরু চোরা চালানি এখনই বন্ধ করুন। অন্যথায় সামনের ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যার ভুক্তভোগী হবে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবকেরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে এই অনুরোধ রেখে আপনার স্লোগান দিয়েই শেষ করছি। ‘একটি খামার একটি বাড়ি / শেখ হাসিনা দিচ্ছে পাড়ি, একটি খামার একটি বাড়ি উন্নয়নের দেশ গড়ি’।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন,
প্রভাষক,
ইংরেজি বিভাগ, কুয়াইশ বুড়িশ্বর শেখ মো. সিটি কর্পোরেশন কলেজ, চট্টগ্রাম।