বাজারের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আরও ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের মান সনদ বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। গত রোববার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ৩৪তম কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়। বর্তমানে ১৮১টি পণ্যের বাধ্যতামূলক মান সনদ দিয়ে যাচ্ছে বিএসটিআই। তার সঙ্গে নতুন ৪৩টি পণ্যকেও মান সনদ নিয়ে বাজারে আসতে হবে বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
লো ফ্যাট মিল্ক, ফ্লেভারড মিল্ক, আইস ললি, ন্যাচারাল মেহেদী, ডিসওয়াশিং লিকুইড, লিকুইড টয়লেট ক্লিনার, নেইল পলিশ, গোল্ড (স্বর্ণ), পাওয়ার লুমে তৈরি কটন শাড়ি, প্যাসেঞ্জার কার টায়ার ও রিম, হলো ক্লে ব্রিকস ও ব্লকস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রয়েছে এই ৪৩টি পণ্যের মধ্যে। খবর বিডিনিউজের।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে বিএসটিআইয়ের কাউন্সিল সভায় কাউন্সিলের প্রথম সহসভাপতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, দ্বিতীয় সহসভাপতি শিল্পসচিব কে এম আলী আজম, সদস্য সচিব বিএসটিআইর মহাপরিচালক নজরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই এর অফিস সম্প্রসারণ ও সেবাদান কার্যক্রম জোরদার করতে বিদ্যমান আটটি বিভাগীয় অফিসের পাশাপাশি আরও ১৩টি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের বাইরে ৪৩টি জেলায় মোবাইল কোর্ট, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন ও সার্ভিল্যান্স পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে নিজস্ব অফিস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
বিশ্ব বাজারে হালাল পণ্য রপ্তানির বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী সভায় বলেন, এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বিএসটিআইকে দ্রুত হালাল পণ্যের মান নির্ধারণ ও মান সনদ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
শিল্প, স্বরাষ্ট্র, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।