নতুন বছরের জন্য দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক স্কুল, মেট্রোপলিটন ও জেলা সদর পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ১২ নভেম্বর, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১১০ টাকা ভর্তি ফি দিয়ে এসব স্কুলে ভর্তির আবেদন করা যাবে। আবেদনের মেয়াদ শেষে আগামী ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের স্কুল নির্ধারিত হবে। যদিও উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলো স্থানীয় ভর্তি কমিটির অনুমোদন নিয়ে সরাসরি লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে। এক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন ও জেলা সদর পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোর মত তাদের অনলাইনে আবেদনের প্রয়োজন পড়বে না। খবর বিডিনিউজের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গতকাল রোববার সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলের কেন্দ্রীয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আবেদনের প্রক্রিয়া : https://gsa.teletalk.com.bd/ লিংকে ঢুকে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করা যাবে। আবেদনের সময় সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে থানাভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন এলাকা ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রম নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স পাঁচ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ বয়স সাত বছর হলেও আবেদন করা যাবে। যেমন– আগামী বছর বা ২০২৫ সালে কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তির সময় তার জন্ম তারিখ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে হলে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে হবে।
সরকারি স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক–কর্মচারীর ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষক–কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে কাছের সরকারি বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক–কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে কাছের সরকারি বালক বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। এছাড়া শিক্ষক যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন, তাহলে তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। আর কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে কাছের বালক–বালিকা বা সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
বেসরকারি স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগরী, মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সন্তানদের ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির সুযোগ থাকবে। তবে পোষ্য বা আত্মীয়–স্বজন বা ম্যানেজিং কমিটির জন্য আসন সংরক্ষণ থাকবে না।