খাগড়াছড়িতে আব্দুর রহমান আবির নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নিহত ওই শিক্ষার্থী সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি এলাকার বায়তুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ।
গতকাল রবিবার বিকেলে ভুয়াছড়ি বায়তুল আমান মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত শিক্ষার্থী পানছড়ি উপজেলার পূজগাং আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার মো. সারোয়ারের ছেলে।
অভিযুক্ত শিক্ষক হেফজ বিভাগের হাফেজ মো. আমিন ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার দেলোয়ার পিছির ছেলে।
জানা গেছে, তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পুরো শরীরে আঘাত করে পেলে ঐ শিক্ষক। পরে সে বমি করলে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে আসেন শিক্ষক। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থী আবিরের খালা আছিয়া খাতুন বলেন, হুজুর আমাকে ফোন করে জানায় আবির বমি করেছে। আমরা যেন হাসপাতালে যাই। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর দেখলাম আবিরের লাশ পড়ে আছে। হুজুর তাকে রেখে পালিয়ে গেছেন।
আবিরের আরেক স্বজন মো. দেলোয়ার হোসেন
বলেন, কিছুদিন আগে আবিরকে ভুয়াছড়ি মাদরাসায় ভর্তি করা হয়। পড়তে না বসায় তাকে ধরে এনে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। আমরা পাষণ্ড শিক্ষকের বিচার চাই।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুর রহমান জানান, ফোন করে অভিযুক্ত হাফেজ মো. আমিন ইসলাম আবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানায়।
হাসপাতালে এসে দেখি মো. আমিন ইসলাম পালিয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের উপ–পরিদর্শক সুজন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়টি জানার পর আমরা হাসপাতালে এসে মৃত শিশুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষ বিস্তারিত জানাতে পারব।