রাঙামাটিতে সদ্য বদলি হয়ে আসা পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন বলেন, “মাদকের সাথে কোনো আপোষ নয়, পুলিশ সুপারের দরজা থাকবে খোলা।”
আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় পলওয়েল পার্কে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসপি মীর মোদ্দাছছের হোসেন আরও বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। তবে পার্বত্যঞ্চলের কিছু মানুষের বাড়িতে যেসব চোলাই মদ তৈরি হয় তার ব্যাপারে পুলিশ অবগত আছে। সেই মদ যদি বাণিজ্যিক আকারে বিক্রি হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।”
এসপি জানান, রাঙামাটিতে আগত পর্যটকদের বিনোদন দিতে অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। এর বদলে মাদক দিয়ে কেউ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারণ মাদক যেমন কারো জন্য মঙ্গল নয়, তেমনি রাঙামাটির প্রতি পর্যটকদের কোনো নেতিবাচক ধারণা যাতে না জন্মায় সেই ব্যাপারে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি আরও জানান, দুর্গমতার কারণে রাঙামাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠিন। সেইজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। এইজন্য টেলিযোগাযোগ
ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। আপনারাও সেই ব্যাপারে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, “যোগদানের পর এসেই বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ফারুয়া ইউনিয়নে ছুটে গেছি। এখানে ১৪ হাজার লোকের বসবাস। থানার জন্য জায়গা
বরাদ্দ থাকলেও কোনো থানা নেই। তাই জায়গা শনাক্ত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে থানা তৈরির কাজে চেষ্টা চলবে। এছাড়া সাজেকে গিয়েছি। এলাকাটিও দুর্গম।
দুর্গম এলাকার ফাঁঁড়িগুলো পরিদর্শন করেছি।” যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে জনগণও উপকৃত হবে যোগ করেন পুলিশ সুপার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “পলওয়েল পার্কের কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিশেষ দিবসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।”
বক্তৃতার প্রারম্ভে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারবর্গ, স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদ এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈন উদ্দীন চৌধুরী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।