প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য নারকোটিকস কন্ট্রোল অ্যাক্ট ২০১৮ : লিগ্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল পার্সপেক্টিভস শীর্ষক স্টুডেন্টস সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার এলএলবি ৪৯তম ব্যাচের উদ্যোগে এই সিম্পোজিয়ামে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস এম নছরুল কদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন অনুষদের অ্যাডজাঙ্কট ডিন প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান ও সহকারী ডিন তানজিনা আলম চৌধুরী। সিম্পোজিয়ামে গেস্ট স্পিকার ছিলেন চট্টগ্রামের ডিপার্টমেন্ট অব নারকোটিকস কন্ট্রোলের ডেপুটি ডিরেক্টর শামীম হোসেন। আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার বিশ্বাস সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি বলেন, মাদক শুধু ব্যক্তিকে বিপথে নেয় না, এটি সমাজের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করে। ২১ শতকের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তরুণদের শক্তি, সৃজনশীলতা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে হলে মাদকবিরোধী আইনের সঠিক প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। নারকোটিকস কন্ট্রোল অ্যাক্ট ২০১৮ শুধু একটি আইন নয়–এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার একটি শক্তিশালী নীতিমালা।
প্রফেসর মো. মোরশেদ মাহমুদ খান বলেন, মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব প্রথমে ব্যক্তি, তারপর ধারাবাহিকভাবে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বের উপর পড়ে। মাদক যারা নেয়, তাদের ৯৫ শতাংশ তরুণ। তানজিনা আলম চৌধুরী বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখছি মাদকবিরোধী ব্যাপক প্রচার–প্রচারণা। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ হয়নি। গেস্ট স্পিকার শামীম হোসেন তাঁর বক্তব্যে নারকোটিকস কন্ট্রোল অ্যাক্ট ২০১৮–এর ৪০ ও ৪১ ধারার কথা তুলে ধরেন, যেখানে বলা হয়েছে, মাদকের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষক ও অর্থলগ্নিকারীও আইনের আওতায় আসবে। সভাপতি বলেন, মাদকবিরোধী আইনকে শুধুমাত্র পাঠ্যবিষয় হিসেবে নয়, বরং জাতীয় উন্নয়ন ও মানবতার সাথে সম্পর্কিত একটি মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে উপলব্ধি করতে হবে। শেষে ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য নারকোটিকস কন্ট্রোল অ্যাক্ট ২০১৮ : লিগ্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল পার্সপেক্টিভস’ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












