চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকায় মো. মহিউদ্দিনের (৪৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র-গুলিসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে বাকলিয়া থানাধীন রাহাত্তারপুল খালপাড় এলাকায় ডিবি পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি কায়সারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. সুমন (১৯) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার মো. জামালের ছেলে। সে দক্ষিণ বাকলিয়া রাহাত্তারপুল দৌলত খানের কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতো। এ সময় ঘটনায় জড়িত মো. আসিফ (২৬) নামে আরেকজন পালিয়ে যায়। এ সময় সুমনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সিএমপির ডিবি উত্তর-দক্ষিণ বিভাগ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ডিবি পুলিশ জানায়, সুমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আসিফ ও সুমন দুজন মিলে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. মহিউদ্দিন (৪৫)-কে বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে খাল পাড়ের পূর্ব পাশে আবু সওদাগরের কলোনির পিছনে ইটের স্তুপের নিচে লাশ লুকিয়ে তারা আত্মগোপন চলে যায়।
এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিকের গাফফারের কলোনির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৪৪/২৫, ধারা ৩০২/৩৪)।
নিহত যুবক মহিউদ্দিন আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের মিছির বাপের বাড়ির মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। তিনি বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার মসজিদ গলির সৈয়দের বাপের বাড়িতে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
এই চক্রটি এলাকায় কিশোর গ্যাং স্টাইলে আধিপত্য বিস্তার করছিল। তাদের ব্যবসা ছিলো মাদক বিক্রি। তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।