মাদক, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং–সামাজিক এই তিন ব্যাধিসহ চুরি–ছিনতাই, ডাকাতি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম। গতকাল উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, উপজেলায় সমপ্রতি কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ, সামাজিক ও রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে। ইভটিজিং ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। ইতোমধ্যে উপজেলায় মাদক সেবনের দায়ে ৩ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও আমরা মাদকের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযান পরিচালনা করতে চাই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরও বলেন, চুরি–ছিনতাই রোধে আমাদের পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। তারা এ বিষয়ে আরও নজরদারি বাড়াবে। বন ও পরিবেশ ধ্বংস করতে যারা লিপ্ত তাদেরকে কোনো ছাড় নয়। নৌ–পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। যেখানেই সাগর থেকে বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটা সেখানেই অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও দণ্ড প্রদান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব এবং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরউদ্দিন রাশেদ, কৃষি অফিসার মো. হাবিবুল্লাহ, প্রাণিসম্পদ অফিসার মোছাম্মৎ তাহমিনা আরজু, উপজেলা প্রকৌশলী মো. বাদশা, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস মোস্তফা আলম সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার লুৎফুন্নেসা বেগম, যুব উন্নয়ন অফিসার মো. তাজাম্মল হোসেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ–সহকারী প্রকৗশলী মো. রাশেদু্জ্জামান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল, তথ্যসেবা কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা তন্বী।