কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়িতে নির্মিতব্য গভীর সমুদ্র বন্দর, কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রসহ বড় বড় মেগাপ্রকল্পের কারণে ভবিষ্যতে যানবাহনের চাপ এবং চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গাকে যানজটমুক্ত করতে নির্মাণ করা হবে একটি বাইপাস সড়ক। পৌরসভাসহ যেসব ইউনিয়নের ওপর দিয়ে এই বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হবে সেই বিষয়ে পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব নিরূপণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) পক্ষ থেকে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়নের এই প্রকল্প নিয়ে সভার আয়োজন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (আরএইচডি)।
চকরিয়া পৌরসভা ভবনে গতকাল বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় বাইপাস সড়ক নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ নানা বিষয়ে মতামত চাওয়া হয় উপস্থিত সর্বস্তরের নাগরিকের কাছ থেকে। চকরিয়া পৌরমেয়র আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য জাফর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা প্রকৌশলী কমল পাল, এস এম মনজুর আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বশিরুল আলম, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, শওকত ওসমান, গোলাম মোস্তফা কাইছার প্রমুখ। জাইকার প্রতিনিধি ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট রফিউল করিম, সহকারি কনসালটেন্ট যথাক্রমে শাহ পরাণ, মাহফুজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি জাফর আলম বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লা বিদ্যুৎসহ বড় বড় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এখানে। এসব প্রকল্পে যাওয়ার একমাত্র গেটওয়ে হচ্ছে চকরিয়া পৌরশহর। তাই পৌরশহর চিরিঙ্গায় যাতে কোন ধরণের যানজট না হয় এবং বড় বড় প্রকল্পগুলোর যানবাহনের চাপ পৌরশহরে না পড়ে সেজন্য বাইপাস সড়ক নির্মাণের বিকল্প নেই।