লোহাগাড়া সদরের আলুরঘাট রোডে মাটিযুক্ত পাথরসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেনের স্লাব (ঢাকনা) তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকালে স্থানীয়রা স্লাব তৈরিতে অনিয়ম দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেন। একইদিন সন্ধ্যায় তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেনের স্লাব তৈরির সত্যতা পান।
জানা যায়, আলুরঘাট রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি ড্রেন নির্মাণ কাজ করছে কবির কন্সস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই সড়কের ২৭০ মিটার রিজিট প্যাভম্যান্ট (আরসিসি ঢালাই) এর কাজ পান মেসার্স রয়েল এসোসিয়েট নামে অপর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই ড্রেন নির্মাণে কাজের মান ভালো হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু ও শেষ করতে না পারায় জনগুরুত্বপূর্ণ উক্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উক্ত সড়ক দিয়ে আমিরাবাদ দর্জিপাড়া, রাউজন্যা পাড়া, পশ্চিম আমিরাবাদ, আলুরঘাট, ডলুকুল, বড়হাতিয়ার সেনেরহাট, সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ও গারাঙ্গিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এছাড়া সড়কের উভয় পাশে রয়েছে বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এক পশলা বৃষ্টিতে গর্তগুলোতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনের অভ্যন্তরীন সড়ক আলুরঘাট রোডটি খুবই ব্যস্ততম। এ সড়কের দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন পণ্যবাহী শত শত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটির সংস্কার কাজ ধীর গতিতে হওয়া ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইফরাদ বিন মুনির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাটিযুক্ত পাথরসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা ড্রেনের স্লাবগুলো নষ্ট করে দেয়া হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেনের স্লাব তৈরির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।