সাতকানিয়ায় ইটভাটার শ্রমিকের গুলিতে অন্য ভাটার এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার নাম জাহাঙ্গীর আলম (৪০)। একই ঘটনায় নুর হোসেন নামের ইটভাটার এক মাঝিও আহত হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার তেমুহনী এলাকায় চট্টগ্রাম ব্রিকস–২ এর শ্রমিকদের সেডে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর আলম কঙবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতকানিয়ার তেমুহনীর নয়াখাল এলাকার চট্টগ্রাম ব্রিকস–২ এর মাঝি নুর হোসেনের সাথে আরবিএল ইটভাটার মাঝি আমান উল্লাহ প্রকাশ বাদশা এবং ডিবিএম ভাটার মাঝি জামাল উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। তারা তিন জনের বাড়ি চকরিয়া এলাকায় এবং একে অন্যের প্রতিবেশী। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ডিবিএম ভাটার মাঝি জামাল উদ্দিনের শ্রমিক মো. জাহেদ চট্টগ্রাম ব্রিকস–২ তে এসে শ্রমিক সেডে ঘুরে যায়। রাত ২টার দিকে মাঝি জামাল উদ্দিন ও আমান উল্লাহ বাদশার নেতৃত্বে ১০–১২ জন শ্রমিক চট্টগ্রাম ব্রিকস–২ এর শ্রমিকদের সেডে ঢুকে মাঝি নুর হোসেনকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা মারধর করে চলে যাচ্ছিল। ঠিক ওই সময়ে নুর হোসেনের পাশে থাকা একই এলাকার শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম মারধর করতে আসা এক শ্রমিককে আটকে ফেলে। তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে গুলিবিদ্ধ শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম ব্রিকস–২ এর মালিক কেঁওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ওচমান আলী জানান, আমার ইটভাটার পার্শ্ববর্তী দুইটি ভাটার মাঝি ও শ্রমিকরা গভীর রাতে এসে আমার ভাটার মাঝিকে মারধর শুরু করে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তার পাশে থাকা শ্রমিক জাহাঙ্গীর প্রতিবাদ করাতে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মূলত একই এলাকার শ্রমিকদের মধ্যে পূর্বের বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।