সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ রুটের একটি ফ্লাইটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী। গত শুক্রবার সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাবুক থেকে জেদ্দায় যাচ্ছিলেন ওই নারী। প্লেনটি ৩৬ হাজার ফুট ওপরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ তার প্রসব বেদনা শুরু হয় ও সৌভাগ্যক্রমে প্লেনে থাকা চিকিৎসকদের নির্দেশনায় সন্তান জন্ম দেন তিনি।
গত রোববার এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানায়, সৌভাগ্যক্রমে ওই প্লেনে দুটি ফুটবল দল ভ্রমণ করছিল ও দুটি দলের সঙ্গেই চিকিৎসক ছিল। তাদের নির্দেশনায় বিমানে থাকা অন্য এক যাত্রী নিরাপদে মায়ের গর্ভ থেকে শিশুটিকে ভূমিষ্ঠ করেন। প্রাথমিকভাবে বিমানে থাকা চিকিৎসকরা শিশুটির নাভির সঙ্গে সংযুক্ত নাড়ি না কাটার পরামর্শ দেন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর জরুরি ভিত্তিতে তাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুটির নাড়ি কাটা হয়। বর্তমানে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশি ওই নারীকে বহনকারী প্লেনটি কন্ট্রোল টাওয়ারে সন্তান প্রসবের বিষয়টি জানায়। পরে দ্রুত অবতরণের জন্য প্লেনের পাইলটকে বিমানবন্দরের সবচেয়ে কাছাকাছি গেটটি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মা ও সদ্যোজাত সন্তানের চিকিৎসায় নারী চিকিৎসকসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
সচারচর বিমানে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এমন নারীদের উঠতে দেওয়া হয় না। তবুও মাঝ আকাশে এমন সন্তান প্রসবের ঘটনা কিন্তু বিরল নয়। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ হওয়ার আগে পর্যন্ত নারীদের বিমানে চড়তে কোনো বাধা নেই। চলতি বছরের প্রথম দিকে টোকিও থেকে দুবাই যাওয়ার পথে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সন্তানের জন্ম দেন এক নারী। তার আগে গত বছরের মে মাসে আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্রন্টিয়ারের একটি প্লেনে এমন ঘটনা ঘটে। প্লেনটির শৌচাগারেই বাচ্চা প্রসব করেন এক নারী। ডেনভার থেকে কলোরাডো যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।