মাংস কিনতে এসে মুহূর্তেই হলেন লাশ

| শনিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কেপি ঘোষ স্ট্রিট স্থানীয়দের কাছে পরিচিত কসাইটুলি হিসেবে। সংকীর্ণ এই সড়কের বাংলা স্কুলের সামনে ২০ নং ভবনের নিচে রয়েছে গরু ও খাসির মাংস বিক্রির দোকান। নয়ন আহমেদ পরিচালিত এই দোকান সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রির জন্য ব্যাপক পরিচিত। প্রতিদিন স্থানীয়রাসহ অসংখ্য মানুষ এই দোকানে মাংস কিনতে ভিড় জমান। ছুটির দিনে সেই ভিড় কয়েকগুণ বাড়ে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে ভিড় লেগে ছিল ওই মাংসের দোকানে। দোকানের সামনে সংকীর্ণ রাস্তায় পথচারীদেরও ছিল ব্যাপক আনাগোনা। কিন্তু সকালে আকস্মিক ভূমিকম্পে জরাজীর্ণ সাত তলা ভবনটির ওপর থেকে ভেঙে পড়ে রেলিং। ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন। গুরুতর আহত আরও ১২ জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকার একটি ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পলেস্তরা খসে নিচে পড়ে, যেখানে একটি গরুর মাংস বিক্রির দোকান ছিল। এতে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় আরও ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনায় হতবিহম্বল হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। একদিকে তীব্র ভূমিকম্পের অনুভূতি, অন্যদিকে রেলিং পড়ে হতহতের ঘটনায় তারা অনেকটাই বাকরুদ্ধ। স্থানীয়দের ভাষ্য, মাংসের দোকানের সামনে বাঁশ দিয়ে ত্রিপল টাঙানো ছিল। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা কম হয়েছে। ওপর থেকে রেলিংটি প্রথমে ওই ত্রিপলের ওপর পড়ে। তারপর পড়ে লোকজনের ওপর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপর্যটকশূন্য সেন্টমার্টিনে স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্য
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি টাকায় ১০ মাসে দুইবার পিকনিক, প্রশ্ন ক্ষোভ