সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মুদির দোকান, ফার্মেসি, টেলিকম সেন্টার এমনকি ফুটপাতেও বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডারসহ অকটেন, পেট্রোল ও জ্বালানি তেল। জ্বালানি অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই শুধুমাত্র পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে এসব জ্বালানি তেল–গ্যাস বিকিকিনি। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা–সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল এলপি গ্যাস বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া কোনও দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না।
২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। কিন্ত এসব নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে মহেশখালীর বিভিন্ন বাজারের বড় দোকান থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার দোকানেও মিলছে এলপিজি সিলিন্ডার, অকটেন, পেট্রোলসহ জ্বালানি তেল। উপজেলা প্রশাসন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের কোনো নজরদারি নেই। ফলে এ ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়িরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার পূলক কান্তি সরকার বলেন, আমরা অনেকবার বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও প্রচার প্রচারণা করেছি। প্রত্যেকটি বাজার কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠিও দেয়া হয়েছে। আমাদের ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই। সামনে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন মহড়া ও সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন করা হবে।












