মহেশখালী সীমান্ত খাল উদ্ধারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপি

| বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

৪৫ বছর ধরে দখলে থাকা মহেশখালীর ঐতিহাসিক দাঁড়াদিয়া খাল (স্থানীয়ভাবে ‘ফারা খাল’ নামে পরিচিত) উদ্ধারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মহেশখালী উন্নয়ন ফোরাম। গতকাল বুধবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানকালে ফোরামের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রশাসনের মদদে সীমান্তবর্তী খালটি বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে মাছের ঘের ও লবণের মাঠে পরিণত করা হয়েছে। ফলে জোয়ারভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে খালটি আজ মৃতপ্রায়।

খাল নয়, যেন লুন্ঠনের জলাধার : সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী (দাগ ২০১, ২০২; বিএস খতিয়ান নং) খালটির আয়তন ৪৫.৫৩ একর। কিন্তু গত চার দশকের বেশি সময় ধরে প্রভাবশালীরা এটি দখল করে রেখেছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী নৌপথ, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। স্থানীয় জেলে আবদুল করিম বলেন, আগে এই খালে নৌকা চলতো, বদরখালীমাতারবাড়ী নৌ যোগাযোগ ছিল। এখালে মাছ ধরতাম। এখন সব বন্ধ। খাল বাঁচলে আমরাও বাঁচি। খাল দখলে পরিবেশের সর্বনাশ করেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।

পরিবেশবিদ জামাল হোসেন বলেন, খাল বন্ধ থাকায় লবণ উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে। আগে এই খালের দুপাশে ম্যানগ্রোভ বনায়ন ছিল, মৎস্য প্রজনন ছিল। মহেশখালী ও মাতাবাড়ির প্রায় ৭ হাজার জেলে পরিবার খালে উপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমানে খালের দুপাশে বাঁধ দিয়ে উপকূলীয় পরিবেশও বিপর্যস্ত করেছে। পরিবেশবাদী এ.কে.এম. আবু ইউসুফ বলেন, এটি শুধু একটি খাল নয়, উপকূলের প্রাণরেখা। দখলমুক্ত করা এখন রাষ্ট্রীয় জরুরি দায়িত্ব। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ওচমান জাহাঙ্গীর, জামাল হোসেন, ছৈয়দ মোখতার উদ্দিন, আবু নাসের, এম কে মো. মুবিন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅতিরিক্ত রোগীর চাপ, জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
পরবর্তী নিবন্ধআইসিএবি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির নির্বাচন