মহেশখালী থেকে অপহৃত ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের ৪ দিন উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা খালেদাকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব–১৫ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১২ বছর বয়সী ভিকটিমের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলায়। সে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। ঘটনার দিন গত ২১ এপ্রিল ভিকটিম তার নানির ঔষধ আনতে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা খালেদা সুকৌশলে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে বান্দরবানের লামায় গহীন পাহাড়ি এলাকায় অপহরণের সাথে জড়িত জমির উদ্দিনের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে। পরে অপহরণকারীরা তার বাবার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার মহেশখালী থানায় একটি জিডি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত বুধবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা খালেদাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী খালেদা বেগম একজন রোহিঙ্গা। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প–৪, ব্লক–ডি/১৪ কুতুপালং, উখিয়ায় থাকতেন। পরবর্তীতে তার হেড মাঝির সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, খালেদা ক্যাম্প হতে সিআইসি কর্তৃক বিতাড়িত। সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় চুরি ও প্রতারণা করেছে। যার ফলে এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে। শেষে এক পর্যায়ে তিনি ২ ভরি স্বর্ণ চুরি করে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মহেশখালীতে চলে যায়। জানা যায়, অপহরণকারী খালেদা ক্যাম্পে মাদক, যৌনতা, চুরি ও প্রতারণসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ করিম।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার হামিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।