হাটহাজারী–নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার জায়গা সীমাহীন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে দুর্ঘটনা নিত্যনৈমত্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহাসড়কের জায়গায় প্রতিযোগিতা মূলকভাবে অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে মাসিক ভাড়া দিয়ে জনস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
হাটহাজারী উপজেলা সদর থেকে নাজিরহাট মহাসড়ক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। মহাসড়কের মেডিকেল গেট সংলগ্ন এলাকা, ওয়াপদা গেট, আবাসিয়ার পোল, মীরেরখীল বড়ুয়া পাড়া, মীরেরহাট বাজার ও সংলগ্ন স্থান, মুন্সির মসজিদ, ভাঙা পোল, বোর্ড স্কুল, ইজতমার মাঠ সংলগ্ন এলাকা, চারিয়া নয়াহাট, বুড়িপুকুর পাড়, চারিয়া কলঘর, মুছার দোকান, মুহুরীহাট, বটতল প্রভৃতি ৩২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত মহাসড়কের পাশে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পার্কিং করা থাকে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ছাড়াও মহাসড়কের পাশে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পার্কিং করে রাখার কারণে বিগত দেড় মাসে অনন্ত ৬টি দুর্ঘটনার বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। হাটহাজারী–নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রসস্থ করনের জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে উল্লেখিত ৩২ টি স্থানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবৈধ দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সড়ক প্রসস্ত করা হয়েছিল। সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হতে না হতে প্রভাবশালী মহল পুনরায় সওজের জায়গা দখল করে।
ভুক্তভোগীদের দাবি মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা জনস্বার্থে অভিলম্বে উচ্ছেদ করে সড়কের নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।