বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের উদ্যোগে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথমদিন গতকাল সোমবার বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার বার্ষিক সভা, পুরস্কার বিতরণ ও বিদায়ী শিক্ষক–কর্মচারীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী বলেছেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত আরব সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সমপ্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরণীয় নজির স্থাপন করেন। জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। স্বাগত বক্তব্য দেন, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদের সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ।
বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চবি আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। বিশেষ বক্তা ছিলেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান। উপস্থিত ছিলেন মজলিসুল ওলামার মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিবসে অনুষ্ঠিত হবে তামাদ্দুনিক (সাংস্কৃতিক) প্রতিযোগিতা ও শিশু–কিশোরদের পরিবেশনায় পাখপাখালির আসর। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।