মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটানো হবে

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বর্ধিত সভা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন এবং আনোয়ারা প্রান্তে অনুষ্ঠিতব্য জনসভা সফল করার লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল বুধবার সকালে কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভায় সূচনা ও নির্দেশনামূলক বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটানো হবে। এই লক্ষ্যে তিনি দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রোডম্যাপসহ সমাবেশ স্থলে নির্দিষ্ট সময়ে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, বাঙালির স্বর্ণালী স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তিযোগ বিএনপিজামাত দুষ্টগ্রহ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কিছুতেই সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা ঐদিন ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে নাশকতাঅরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ঢাকাকে অচল করে কুমতলব হাসিলের জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কথিত মহাসমাবেশ ডেকেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, দেশিবিদেশি বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নির্বাচন বানচাল এবং বাংলাদেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ধ্বংসাত্মক মহড়া।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন থানা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বয়াকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণের জন্য উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানান।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে তৃণমূল স্তরের বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সকল দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়ে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে নির্বাচনী সভায় যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ তার মধ্যে অন্যতম।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে উত্থাপিত ২৮দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসব বাস্তবায়নে অঙ্গীকার প্রদান করেছিলেন। আজ একে একে তার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটা সমগ্র জাতির জন্য একটি সৌভাগ্যের বিষয়।

শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মসিউর রহমান চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাচ্চু এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন।

সভায় সাবেক যোগাযোগ ও সেতু প্রতিমন্ত্রী আবুল হোসেনের ইন্তেকালে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ থেকে ৬৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
পরবর্তী নিবন্ধসূর্য ওঠার আগেই সমাবেশস্থল পটিয়ার মানুষে পরিপূর্ণ করতে হবে