সম্প্রতি হালিশহর বাস স্ট্যান্ড চত্বরে দক্ষিণ কাট্টলীস্থ বশির ভাণ্ডার দরবার শরীফের শাহজাদা ও আল হাসনাইন মিশনের সভাপতি মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন আল সানজারীর সভাপতিত্বে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া হাদি মনজিলের সাজ্জাদানশীন শাহসূফি সৈয়দ মঈনুল কবির আল মাইজভাণ্ডারী। প্রধান আলোচক ছিলেন মাওলানা মুফতি আলাউদ্দীন জিহাদী।
এতে বক্তারা বলেন, মহান আল্লাহ তার রাসুলের (দ.) শান–মান ইজ্জতকে সবার উপরে রেখেছেন। এমনকি হাশরেরও এই শান মর্যাদা অব্যাহত রেখে কোটি কোটি উম্মতের জামিনদার হয়ে উম্মতদেরকে জান্নাতের বাসিন্দা করবেন। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, হে রাসুল আপনি বলে দিন, আপনি আপনার উম্মতের কাছে, ইসলামের জন্যে আমার ত্যাগের বিনিময়ে তোমাদের কাছে আমি আর কিছু চাই না, চাই শুধু আমার আহলে বায়ত আওলাদগণের মুহব্বত ও ভালোবাসা। আল্লাহর এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সেদিন পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ ইমাম হুসাইনসহ (রা.) অসংখ্য আওলাদে রাসুলদের হত্যা করে। এই ঘটনা হতে প্রতিয়মান হয় যে, ইয়াজিদ ইবলিশ শয়তানের ন্যায় আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করে চির অভিশপ্ত হয়ে গেছেন।
মাওলানা হেলাল উদ্দীন আলকাদেরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ও আলোচক ছিলেন চসিক ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, মাওলানা নাছির উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা মহিউদ্দীন তাহেরী নক্সেবন্দী, মুফতি মাওলানা আসাদুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার আবেদ হোসেন, শাহজাদা তানভীর হাদি আল মাইজভাণ্ডারী ও শাহজাদা তাজভীর হাদি আল মাইজভাণ্ডারী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ হসান, মুহাম্মদ আক্কাস, মুহাম্মদ মানিক, আবুল হোসেন, আলমগীর, এরশাদ, মুহাম্মদ অপু, ইরফান, আবদুল আজিজ প্রমুখ। শেষে মিলাদ দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।