মশার প্রজনন রোধে নগরে খাল পরিষ্কার কর্মসূচি শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল সকাল ৮টায় বাকলিয়ায় বির্জা খাল থেকে আবর্জনা ও বর্জ্য পরিষ্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
এসময় তিনি বলেন, চাক্তাই-মহেশখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিষ্কার কাজ শুরু করেছি। খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন, ককসিট ও অপচনশীল দ্রব্য ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রশাসক বলেন, আগামীতে পরিষ্কার হওয়া খাল-নালায় কোন ময়লা আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেব। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, পুকুর, খাল-নালা পরিষ্কার রাখুন। এটা আমার-আপনার সামাজিক দায়িত্ব।
পলিথিন বর্জনের আহবান জানিয়ে সুজন বলেন, পলিথিনের কারণে আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এসময় তিনি পলিথিন ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প ব্যবসার পথ খুঁজতে আহবান জানান। তিনি বলেন, কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা ইতোমধ্যে রিয়াজুদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোডের ফলমণ্ডিতে ময়লা রাখার জন্য পলিথিনের বিকল্প থলে (ব্যাগ) সরবরাহ করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মশা বংশ বিস্তার করে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এডিস মশা ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি, রেফ্রিজারেটরের পানি ও ছাদের কার্নিশে জমা পানিতে এডিস বংশ বিস্তার করে। তাই এডিস মশার প্রজনন ধ্বংসে আমাদের নিজ বাসা-বাড়ি, আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। তিনি বলেন, মশার প্রজনন ধ্বংসে আমরা পরিবেশবান্ধব ওষুধ ছিটানোর কথা ভাবছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয় এমন ওষুধ ছিটাতে হবে। আমরা এখন সেটা নিয়ে ভাবছি। নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।