চট্টগ্রাম শহরে মশার উপদ্রর বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ম্যালেরিয়া, ভেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ইতাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এলাকা শুলকবহরে বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পত্রপত্রিকায় ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া রোগের বিস্তার লাভের কথা জানা যায় এবং এতে প্রত্যহ মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের এলাকার মশার উৎপাত এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, দিনের বেলায়ও ঘুমানো যায় না। ঘুমাতে গেলে মশার কামড় খেতে হয়। দিনরাত বিছানায় মশারি খাটিয়ে রাখা যায় না। আবার দিনরাত মশার ঔষধ ছিটানো সম্ভব হয় না। দিনরাত কয়েল জ্বালিয়ে রাখা সম্ভব না। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। হঠাৎ স্প্রেম্যানকে দেখা যায়। এরপর অনেক দিন দেখা যায় না। তারা ডুমুরের ফুল হয়ে যান। কী ঔষধ ছিটানো হয় তার নাম আমাদের জানা নেই। আমার মনে হয়, ছিটানো ঔষধের নাম হত পানি হবে। যাই হোক, স্প্রেম্যানকে পাওয়া না গেলেও সর্বত্র মশার কয়েল ও তরল ঔষধ বিক্রি হয়। এমনকি, পানের দোকানেও মশার কয়েল পাওয়া যায়। এ সমস্ত মশার কয়েলের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ‘বিষ’। পান দোকানী এসব লেখাকে পাত্তাই দেয় না। সে ক্রমাগত পান বানাচ্ছে সেই সাথে মশার কয়েল বিক্রি করছে। এসব দেখার কেউ নেই।
মশা বাহিত বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষ পাওয়ার জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ শাহ্ নওয়াজ
২৫১ শুলকবহর, ডাকঘর– চকবাজার,
থানা–পাঁচলাইশ।









