শীতের মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। দিনের বেলাও মশারি টানিয়ে বা কয়েল জালিয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। আবার এ মশার কয়েলের ধোয়ায় অসুস্থ হচ্ছে অনেক শিশু ও বৃদ্ধ, কাশি ও ভিবিন্ন রকমের অসুখ হতে পারে মশার কয়েলের ধোয়ায়। মশার উপদ্রব বাড়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের প্রত্যেকের এলাকায় নালাগুলো সম্পূর্ণরূপে অপরিষ্কার। অনেক স্থানে নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পানি চলাচল করতে না পারায় আটকে পড়া পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নালায় জমে থাকে পলিথিন, প্লাস্টিক, চিপস্ এর প্যাকেট আরও অনেক ময়লা আবর্জনা। যদিও এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারকে একটি করে ডাষ্টবিন দেওয়া হলেও মানুষ ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখে, এতে মশার উপদ্রব বাড়তে থাকে। তবে মশা নিধনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ওয়ার্ড পর্যায়ক্রমে কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না । নগরীর ব্যস্ত এলাকায় দিন দিন মশার উপদ্রব বাড়তে দেখা যায়। রাস্তা–ঘাট কোথাও গিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলাটা পর্যন্ত মুশকিল হয়ে পড়েছে।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এখন মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় মশার উপদ্রব বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। মশা নিয়ন্ত্রণে প্রায় ২০ দিন আগে থেকে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ চালানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুজন করে কর্মচারী মশা নিধনে ফগার ও স্প্রে ছিটাতে কাজ করছেন।
সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা আরও জানান, মশা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ড্রেনে মায়লা–আবর্জনা যাতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পানি জমে থাকলে সেখানে মশার লার্ভা সৃষ্টি হবেই। আর সেখান থেকে সৃষ্টি হবে মশা। মূলত আমাদেরই অনেক সচেতন হতে হবে, মশাতো আর এমনিতে বংশ বিস্তার করে না। ময়লা আবর্জনার কারণেই মশা বংশ বিস্তার করে, মশার প্রজনন দিনে দিনে বাড়তে দেখা যায়, এতে কষ্টটা আমাদেরই পোহাতে হয়। শুধু মশার ওষুধ দিয়েই মশা নির্মূল সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা।