ইসলামী ছাত্রশিবির গুপ্ত থেকে মব সৃষ্টি করছে এবং ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের আশ্রয় দিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঐক্যবদ্ধ চেতনাকে ধ্বংস করছে বলে দাবি করেছে নগর ছাত্রদল। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এতে বলা হয়, আগামীতে এ ধরনের ‘অন্যায়’ অব্যাহত থাকলে ছাত্রদল শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যে কোনো মূল্যে সকল ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে ছাত্রদল, ইনশাআল্লাহ।
নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন যৌথ এ বিবৃতিতে ‘গুপ্ত শিবির’ কর্তৃক মব সৃষ্টি করে ছাত্রলীগ নেতাকে থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়া এবং ‘পুলিশের সহায়তায়’ ছাত্রদল নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উপর সশস্ত্র হামলা হয়েছে দাবি করে এর নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুর্ধর্ষ ‘ক্যাডার আরিফকে থানায় সোপর্দ করে মহসিন কলেজ ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। আরিফ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মিজানের অনুসারি ছিল। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আরিফ একাধিকবার ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা করে মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে মারাত্মকভাবে জখম করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাত ১০টায় ‘শিবির ক্যাডার’রা এসে মব সৃষ্টি করে থানা থেকে আরিফকে ছিনিয়ে নেয় ও উপস্থিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে ঘেরাও করে রাখে। এসময় স্থানীয় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসলে তাদেরকে লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের সহায়তায় শিবির ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ নিয়ে ছাত্রদলের উপর হামলা করে। এতে ১২ জন আহত ও দুই ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী আসলে শিবির পালিয়ে যায়। ছাত্রদল তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে চলে যায়।
