বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আসলাম চৌধুরী বলেন, ফুল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফুল মনের জড়তা, সংকীর্ণতা দূর করে মানুষের মনকে নির্মল আনন্দ দেয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনে ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে। আগামী প্রজন্মের মনে ফুলের মাধুর্যকে ফুটিয়ে তুলতে এ ফুল উৎসব সহায়তা করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিসি পার্কে ফুল উৎসবে মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানের সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যালে ১৩টি দেশ অংশগ্রহণ করে। দেশগুলো হলো– ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ভুটান, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, নেপাল, পূর্ব তিব্বত, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মালদ্বীপ। উৎসব মঞ্চের পাশে ১৩ দেশের জন্য তৈরি করা হয় স্টল। সেখানে নিজ নিজ দেশের জাতীয় পতাকাসহ তাদের নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।
১৩টি দেশের সাংস্কৃতিক মঞ্চায়নের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহমান জাদির, ফুল উৎসবের মূখ্য ব্যবস্থাপক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আলাউদ্দিন, বিএনপি নেতা কাজী সালাউদ্দিন, কাজী মহিউদ্দিন, মোরছালিন, ফজলুল করিম চৌধুরী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ফুল পবিত্রতার প্রতীক। আমরা মানুষকে যখন আর্শীবাদ জানাই তখন বলি, তোমার জীবন ফুলের মত সুন্দর হোক। তাইতো ফুল উৎসব। আগে এ জায়গাটা মাদকের অভয়ারণ্য ছিল। দখলদার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ১৯৪ একর জায়গাকে উদ্ধার করে ফুলের পবিত্র ভূমিতে উন্নীত করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি।