বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে গত রাতে বৃষ্টি হয়েছে নগরে। রাত ১২ টার পর শুরু হয় এ বৃষ্টি। রাত ১ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত একটানা পড়েছে এ বৃষ্টি। আকস্মিক এ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি হয়েছে পথচারীদের। অবশ্য রাতের বেলা পথচারীর সংখ্যা ছিল কম। এদিকে বৃষ্টিতে কোথাও জলজট হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পৌনে একটায় কাতালগঞ্জে মূল সড়কে অল্প পানি দেখা গেছে।
আকস্মিক বৃষ্টিতে সামান্য ভোগান্তি হলেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মোবিন নামে এক পথচারী। চেরাগী মোড়ে আজাদীকে তিনি বলেন, দিনে প্রচুর গরম পড়েছে। রাতের এ বৃষ্টি স্বস্তির।
এদিকে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকার অদূরে পশ্চিম–মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমী নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভোররাতে কালিংগোপাত্তাম–এর নিকট দিয়ে উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি আরো পশ্চিম/উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এ বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে যে সংকেত দেয়া হয় তা নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল ভূইয়া আজাদীকে জানান, আজ চট্টগ্রামে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া–সহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।