মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস চর্চায় আবদুল করিমের ভূমিকা অসামান্য

চবিতে স্মারক বক্তৃতায় ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো

| সোমবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, চবির সাবেক উপাচার্য, ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আবদুল করিমের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চবি ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এক স্মারক বক্তৃতার (অনলাইন) আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তা ছিলেন চবির ইতিহাস বিভাগের ভূতপূর্ব অধ্যাপক ড. সুনীতি ভূষণ কানুনগো। তাঁর প্রবন্ধের শিরোনাম ‘অধ্যাপক ড. আবদুল করিম ও তাঁর ইতিহাস চর্চা’। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ।সভাপতিত্ব করেন চবি ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুম। বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সালমা বিনতে শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ড.আবদুল করিমের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্রের অডিও প্রচার করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অধ্যাপক সুনীতি ভূষণ কানুনগোর জীবনী পাঠ করেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারহানা আজিজ। তৃতীয় পর্বে অধ্যাপক সুনীতি ভূষণ কানুনগো তাঁর প্রবন্ধে অধ্যাপক আবদুল করিমের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। মেধা, পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও সততার ওপর নির্ভর করে সুদূর চাপাছড়ি গ্রাম থেকে এক পা দুপা করে চট্টগ্রাম, ঢাকা হয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পায়ের চিহ্ন এঁকে দেন ড. আবদুল করিম। কর্মজীবনে প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকেও জ্ঞানচর্চা থেকে বিরতি নেননি একদিনের জন্যও। শুধু রাজরাজড়া নয়, তাঁর রচনার প্রধান বিষয় ছিল মানুষ; মানুষের জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি। বহুভাষাবিদ ড. আবদুল করিম মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস চর্চায় নতুন করে আলো ফেলেন। শুধু এই কীর্তির জন্যই তিনি অমর হয়ে থাকবেন বলে অধ্যাপক কানুনগো উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে বক্তব্য রাখেন সরকারের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এবং চবি ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মুজিবর রহমান সারোয়ার। বিভাগের শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাই লেকে নৌকা থেকে পড়ে ইউপি সদস্য নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধজোয়ার-ভাটার সময়সূচি