এক মাস ১২ দিন পর উন্মুক্ত হলো দেশের নান্দনিক পর্যটনকেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি উপত্যকা। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে, গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
এদিকে, গত ১ নভেম্বর থেকে রাঙামাটি জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও সাজেক এর বাহিরে ছিল। সাজেকের অবস্থান ও ভৌগোলিকভাবে খাগড়াছড়ি জেলা হয়ে যাতায়াত করতে হয়। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে মঙ্গলবার থেকে সাজেকে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক থেকে চলে গেছেন।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, মঙ্গলবার থেকে সাজেক খুলবে। আগের মতো করে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বর্তমানে সাজেকে ১২০টির মতো রিসোর্ট কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেকে কোনো পর্যটক আসতে না পারায় সাজেক একেবারে পর্যটক শূন্য রয়েছে। অনেক রিসোর্ট-কটেজের কর্মচারীরা পর্যটক না থাকায় সাজেক ছেড়ে বাড়িতে চলে গেছে।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের রাঙামাটি জেলা ভ্রমণে সব ধরণের বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র রাঙামাটি জেলার মধ্যে হলেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা হয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণের সিদ্ধান্তটা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন দেবে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলাপ্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সকল পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয় সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।