ভয়ের সংস্কৃতি কেউ তৈরি করতে চাইলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে

বান্দরবানে পথসভায় নাহিদ

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ২০ জুলাই, ২০২৫ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণ অভ্যুত্থােেনর পরে বাংলাদেশে নতুন করে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণ স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে গণ অভ্যুত্থানে নেমেছিল। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও যদি ভয়ের সংস্কৃতি কেউ তৈরি করতে চায় জনগণ আবারও রাজপথে নামবে।

গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৯টায় বান্দরবান শহরের শহীদ আবু সাঈদ মুক্তমঞ্চের সামনে এনসিপির পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা জাতিসত্তার পরিচয়ে নিপীড়ন, নির্যাতন, বিভাজন মেনে নেব না। এই অঞ্চলের ঘরে ঘরে ইনসাফের উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চাই। অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলকে সমৃদ্ধশালী করতে চাই। জুলাই গণ অভ্যুত্থান ছিল নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের জন্য। জুলাই গণ অভ্যুত্থান গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে আমরা চেয়েছি রাষ্ট্রকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে, যে ব্যবস্থাগুলো জনগণের পক্ষে তৈরি হয়নি, যে আইন, যে সংবিধান আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছে, আমাদের মানবাধিকার, আমাদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই রাষ্ট্রের বদল ঘটিয়ে নতুন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা, নতুন একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব। প্রিয় বান্দরবানবাসী, আমরা সেই লড়াইয়ে এখনো আছি। সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি। মানুষের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সিস্টেম অক্ষত রয়ে গেছে। আমরা জানি বাংলাদেশে বহু জাতি গোষ্ঠী বসবাস করে যুগ যুগ ধরে। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে যে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল সেখানে সব জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম অন্তর্ভুক্ত করতে পারি নাই, সকলকে নাগরিক মর্যাদা দিতে পারি নাই। ফলে এ যে মুজিববাদী সংবিধান গোড়া থেকেই ফ্যাসিস্ট সংবিধান ছিল। যেটি সমাজ, রাষ্ট্রে সবসময় বিভাজন তৈরি করে রাখত। আমরা বলেছি, মুজিববাদ যেটি ফ্যাসিবাদের আদর্শ ছিল, মুবিজবাদ যে আমাদের যুগ যুগ ধরে বিভাজন করে রেখেছে, কখনো মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার, কখনো বাঙালি বনাম পাহাড়ি, কখনো ইসলাম বনাম ধর্মনিরপেক্ষতা; নানা নামে নানা সময়ে বিভাজন তৈরি করে রেখেছিল। গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সকল বিভাজন দূর হয়েছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ জায়গায় আসতে পেরেছি। আমাদের ঐক্যের জায়গাটি ছিল বাংলাদেশ।

অন্যদের মধ্যে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, স্থানীয় জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. শহীদুর রহমান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে, এর বাইরে আর কোনো পথ নেই
পরবর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় সাপের ছোবলে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর