ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা নয়, বরং সেই লক্ষ্যকে সমর্থন করা–যে লক্ষ্য জনগণ কার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে চায়, তা স্বাধীনভাবে বেছে নিতে দেয়। রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে–তা নিশ্চিত করতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। খবর বাসসের। এনএসইউ’র ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন–এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ এবং সমন্বয়কারী, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) ড. আব্দুল ওহাব।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য মিয়ানমারে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা– তা নিশ্চিত করা সমগ্র বিশ্বের সম্মিলিত দায়িত্ব। তিনি এ সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর ক্রমাগত সম্মিলিত চাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, বিশেষত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তরিকভাবে নিবেদিত।
হাস সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে কূটনীতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশল আস্থা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।