ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করে

| শুক্রবার , ৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ

ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি ঠিক করার পর যাচাই-বাছাই করে দাম বাড়ানো-কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের (চিনি ও ভোজ্যতেল) মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদ করণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণ দেখিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পাম তেলের দামও বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ‘কিন্তু বললে তো আর বেড়ে যাবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণলায় বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠাবে। তারপর ….।’
সফিকুজ্জামান বলেন, আগে আমাদের মূল্য নির্ধারণী পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। তারপর দাম কমানো, বাড়ানোর বিষয়। মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিটা ৮ থেকে ১০ বছর আগের করা, সেটা রিভিউ করব। মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা রিফাইনারি বড় কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শনে যাবে। সেখানে তারা আমদানি মূল্য, প্যাকেজিং খরচসহ অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করবে। এরপর আমরা দাম নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করব। তারপর আমরা বসে তেলের দাম ঠিক করব।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার দিকে ইঙ্গিত করলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে ঠিক, কিন্তু তার প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। আমরা দুই-আড়াই মাস দেখি। আমরা আগে মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করি, তারপর দাম বৃদ্ধির বিষয়। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমে যায়, তখন আমরাও দাম সমন্বয় করে থাকি। এর আগেও আমরা দাম কমিয়েছি।
ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ছে গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশিত হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে সফিকুজ্জামান বলেন, এমন খবর প্রকাশ দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়ে না। একটা পক্ষ বলে দিল আর…, এখানে তো সরকার আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসমুদ্রে পাওয়া মূল্যবান সি-উইড আসলে কী?
পরবর্তী নিবন্ধহেলেনার বিরুদ্ধে আরেক মামলায় অভিযোগপত্র