দীর্ঘ সময় ধরে পাইকারীতে অস্থির ছিল ভোগ্যপণ্যের বাজার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজার বৃদ্ধির প্রভাবে গত ৩ মাস ধরে ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া ছিল। এখন ডলারের দাম না কমলেও আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে বাজারে।
গতকাল সোমবার খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া মটর ডালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, সাদা মটরের দাম ৪ টাকা কমে ৫৫ টাকা এবং মুগ ডালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকায়। অন্যদিকে ছোলা কেজি প্রতি ৭ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা এবং চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকায়। এছাড়া এলাচের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ৪০ টাকা কমে ১ হাজার ১০ টাকা, জিরা ৩০ টাকা কমে ৩৭০ টাকা, দারুচিনি ১০ টাকা কমে ২৯৫ টাকা, চীনা রসূন ৪০ টাকা কমে ১০০ টাকা, চীনা আদা ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। অপরদিকে পাম তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে
মণপ্রতি ৫০০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং মণপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৭০০ টাকায়।
জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের টানা দরপতনের প্রভাবে পাইকারীতে দাম কমতে শুরু করেছে। যদিও আমাদের দেশে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম এখনো কমেনি। ডলারের দাম কমলে বাজার আরো কমে যেতো। বর্তমানে বাজারে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট নেই।