আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট ভোগ্যপণ্যের বাজারে এখনো প্রভাব পড়েনি। তবে আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিছু কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। আমাদের দেশে প্রায় ভোগ্যপণ্যই আমদানি নির্ভর। আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা না হলে দাম বেড়ে যাতে পারে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদেরই একজন নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকার হক স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. কুতুব উদ্দিন। তিনি জানান, বাজেট ঘোষণার আগেই এক হিসেবে বাজারে বাজেটের প্রভাব পড়ে গেছে। অনেকদিন ধরে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থির। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ অনেক পণ্যেরই দাম কিছুদিন পর পর ওঠানামা করছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে এনে পণ্য বিক্রি করি। পাইকাররা প্রায় সময় আন্তর্জাতিক বাজারে দরবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। আমরাও কেজিতে দুই এক টাকা লাভ করে পণ্য বিক্রি করে থাকি। ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে হলে আমদানি পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এছাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদনে কৃষকদের আরো বেশি বেশি উদ্বুব্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে চাষীরা খরচ পোষাতে পারে না তাই পেঁয়াজ চাষ করে না। সরকার যদি কৃষকদের ভর্তুকি দেয়, তাহলে আমরা কৃষিপণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।