ভেলুয়ার দীঘি ও জোড় ডেবার সৌন্দর্যবর্ধন করবে চসিক, আপত্তি নেই রেলের

শীঘ্রই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্মতি দিলে সংস্থাটির মালিকানাধীন ভেলুয়ার দীঘি এবং জোড় ডেবাসহ নগরের অন্যান্য পতিত জায়গার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে নগরবাসীর বিনোদন ও অবকাশ যাপনের জন্য পার্ক স্থাপন, বাগান ও সবুজায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বুধবার দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে মেয়র নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন প্রতিনিধি দল মেয়রকে জানান, রেলওয়ের মালিকানা অক্ষুণ্ন রেখে সিটি কর্পোরেশন সৌন্দর্যবর্ধন করতে চাইলে রেলওয়ের কোনো আপত্তি থাকবে না। এক্ষেত্রে শীঘ্রই এ বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনায় বৃটিশ উপনিবেশিক সরকার এখানে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের হেড কোয়াটার্স স্থাপন করে। তখন থেকে নগরের তিন ভাগের দুই ভাগ সম্পত্তি রেলওয়ের। তারা জনস্বার্থে এসব জমি বিভিন্ন সময়ে অধিগ্রহণ করে। তিনি বলেন, তাদের স্বার্থেই রেলওয়ে নগরে অনেক উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করে। বর্তমানে কিছু-কিছু জায়গা বিভিন্নভাবে অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যায়। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধণের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এই পরিকল্পনা বাস্তবয়নের লক্ষে নগরীর উন্মুক্ত স্থানগুলোতে পার্ক, উদ্যান, মাঠ ও বিনোদনমূলক স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করি। তারই অংশ হিসেবে ভেলুয়ার দিঘী ও জোড় ডেবাকে ঘিরে পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি।
মেয়র রেলওয়ের জিএমকে বলেন, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদকালে মাদারবাড়ি এলাকায় রেলওয়ে জায়গা লীজের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। তখন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সর্ব্বোচ দরদাতা হিসেবে জমি লীজ পাওয়ার যোগ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিটি কর্পোরেশন উন্নয়ন কাজ করে ১১৩টি প্লট নির্মাণ করে। এর মধ্যে ৪০টি প্লট গ্রাহকের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে লীজ নেয়া ওই জমির বিষয়ে পারস্পারিক বিরোধ সৃষ্টি হলে এক পর্যায়ে তা মামলায় জড়িয়ে পড়ে উন্নয়ন কাজ স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি উভয়ের স্বার্থে মিমাংসার আহ্বান জানান মেয়র। তখন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুপক্ষের আলাপ আলোচনায় তা সমাধান করবেন বলে তারা মেয়রকে আশ্বস্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আহসান কবির, প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাগদাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশ ও দলের সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় চার নেতা