ভেতরে ফুটবল লিগ আর বাইরে শেখ রাসেল ক্রিকেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ

গতকাল থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ। গুরুত্বের দিক থেকে বিবেচনা করলে ঢাকার পরেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ এটি। কিন্তু যারা নিয়মিতই এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে যাতায়াত করেন কিংবা যারা জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাথে জড়িত তারা ছাড়া অন্য কারো জানার বা বুঝার কোন উপাই নাই যে এখানে প্রিমিয়ার লিগের মত একটি ফুটবল লিগ হচ্ছে। হয়তো যারা নিয়মিত সংবাদপত্র পড়েন তারা হয়তো জানতে পারে যে চট্টগ্রামের ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে একেবারে মাঠের ভেতরে পর্যন্ত শুধুই শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১১ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ব্যানার ফেস্টুনের ছড়াছড়ি। অথচ সেই ৩০ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে সে টুর্নামেন্ট। প্রায় এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে সে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে। অতচ চারদিকে কেবল সে টুর্নামেন্টেরই ব্যানার ফেস্টুন। ফুটবলের নেই ছিটেফোটাও। তাই হয়তো যারা মাঠে যাবে তারা বিভ্রান্তও হতে পারে। বাইরে অনূর্ধ্ব-১১ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আর ভেতরে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। বর্তমানে খেলাধুলায় স্পন্সরের বড় অভাব। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে স্পন্সর যোগাড় করাটা অনেক কঠিন কাজ। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থায় আ.জ.ম.নাছির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন বলেই হয়তো স্পন্সর আসছে। অথচ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের স্পন্সর জিপিএইচ ইস্পাতের কোন ব্যানার বা ফেস্টুন চোখে পড়েনি পুরো স্টেডিয়াম এলাকায়। শুধু একটি ব্যানার টানিয়ে লিগের উদ্বোধন করা হয়েছে। যা স্পন্সরদেরও নিরুৎসাহিত করে বলে মনে করেছেন অনেকে। চট্টগ্রামের ফুটবল লিগ মানের শহরে মাইকিং যেন দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য। কিন্তু এবারে সেটাও নেই। আয়োজকরা সবকিছুর দায়িত্ব যেন সংবাদপত্রকে দিয়ে দিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন প্রচারনার বিরাট একটি মাধ্যম। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেই চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের নামে কোন পেজ। কাজেই যেনতেনভাবে একটা লিগ শুরু করে তা শেষ করতে পারলেই যেন বাঁচে আয়োজকরা। আর তাতেই সস্তা বাহবা পেয়ে যেতে চান তারা। গতকাল জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলামের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শেখ রাসেল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নাকি এখনো পুরস্কার বিতরণ হয়নি তাই এই টুর্নামেন্টের যিনি আয়োজক ছিলেন তিনি এইসব ব্যানার ফেস্টুন খুলবেননা। এ যেন এক ধরনের জবর দখল। অথচ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুটবল লিগ চলছে এখন। কখন তিনি পুরষ্কার বিতরন করবেন ততদিন সেই সব ব্যানার ফেস্টুন থাকবে। অন্য কোন ব্যানার নয়। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মুল ভবনের সামনে নানা ধরনের ব্যানার লাগানো আছে সেখানেও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের কোন ব্যানার চোখে পড়েনি। এমন অবহেলা যেখানে চলে সেখানে কেনইবা স্পন্সররা আসবে সেটাও বড় একটা প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। গতকাল যেমন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের এমন অবস্থা দেখে ভ্রু কুচকাতে দেখা গেছে। তারপরও যদি আয়োজকদের বোধোদয় হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ ফুটবল দলের অনুশীলন উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধসেখান থেকে যোগ দেবেন সিপিএলে