তদন্ত কমিটি দ্বারা অবৈধ প্রমাণিত হয়েছে ২০১৯-২১ সালের অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ প্রযোজক ও পরিবেশক
সমিতির নির্বাচন। তাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে কমিটি। সোমবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, প্রযোজক সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুসহ চারজন প্রযোজক নেতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিধি বহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে গত বছরের ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেন।
প্রযোজক সমিতির সদস্য ও অভিনেতা জায়েদ খান বিষয়টি লিখিতভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানান। মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি তদন্তে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চারজন হাইকোর্টের রিট থাকা সত্ত্বেও গোপনভাবে নির্বাচনে অংশ নেন। এজন্য প্রযোজক ও পরিবেশ সমিতির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নূরুল হককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে। আরেকটি প্রজ্ঞাপনে চিত্রনায়ক ও জেডকে মুভিজের কর্ণধার জায়েদ খানের পদ অবৈধভাবে স্থগিত করে রেখেছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। জায়েদ খানকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো ও তার অভিনয়ে যেন বাধা না দেওয়া হয়, এমন নির্দেশনাও রয়েছে। নিয়ম ভেঙে যে চারজন প্রযোজক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তারা হলেন- খোরশেদ আলম খোসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, মনতাজুর রহমান আকবর, ও সদ্য প্রয়াত শরীফ উদ্দিন খান দিপু। রিট মামলা ৫৯৯/২০১৬ অনুযায়ী তারা ২০১৬-২০১৮ সালের চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন করতে পারবেন না। রিট মামলার ৫৯৯/২০১৬ এর ২০ মার্চের আদেশে আরো দেখা যায়, খোরশেদ আলম খসরু ও মনতাজুর রহমান আকবর ৬ বছর কমিটির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি এক নাগাড়ে ৬ বছর কমিটির দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে পরবর্তী দুই বছর তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ৎিরঃঃবহ ঢ়রঃরঃরড়হ ঘড় ৫৯৯৬ ড়ভ ২০১৬ এর আদেশ অমান্য করে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তারা। তাই এই কমিটি ভেঙে কমিটির কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে সচল রাখার জন্য খন্দকার নূরুল হককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ১২০ দিনের মধ্যে প্রযোজক সমিতির নির্বাচন নতুন করে অনুষ্ঠিত হতে হবে।