ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যেত, বললেন কাদের

রোজিনাকে গ্রেপ্তার

| বৃহস্পতিবার , ২০ মে, ২০২১ at ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের নীরবতার কারণে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রোজিনা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে রোজিনার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্‌বান জানাচ্ছি। ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারত। খবর বিডিনিউজের।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
রোজিনা ইসলাম ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তার সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার। রোজিনাকে আটক করার কারণ জানতে সাংবাদিকরা সেদিন দফায় দফায় স্বাস্থ্য সচিবের কাছে গেলেও তিনি কোনো কথা বলেননি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রোজিনার বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকলেও সচিবালয়ের সাংবাদিকরা তা বর্জন করেন।
কেবল সচিবালয় নয়, রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারা দেশেই রাস্তায় নেমেছেন ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার চাওয়ার পাশাপাশি ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট- সিপিজে। বাংলাদেশের এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ বলেছে, সাংবাদিকদের হয়রানিমুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করি। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ রোজিনাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানির কথা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরে মনোরেল চালুর প্রস্তাব
পরবর্তী নিবন্ধসরকারের ওপর আস্থা রাখুন রোজিনা ন্যায় বিচার পাবেন