জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ দেখিয়ে প্লট নিবন্ধনের দায়ে চারজনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামের চাকরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাঞ্চন আলী সওদাগর, অফিস সহকারী আবুল কাশেম, প্লট গ্রহীতা সাজ্জাদ হোসেন ও নাসিম ইকবাল। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। পরে তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক চারজন আসামিকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ ও ইস্যু নম্বর তৈরি করে নগরীর হালিশহর হাউজিং স্টেটের জি ব্লকের ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে মোট ১০ দশমিক ৯৫ কাঠার তিনটি প্লট সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল ও খলিলুর রহমান নামে বরাদ্দ দেখানো হয়। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে চট্টগ্রাম জেলা নিবন্ধন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভূয়া আদেশ দেখিয়ে ওই জমি নিবন্ধনও করানো হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরার সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা।